পুরাতন মালদা

প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে যুদ্ধ কালীন প্রস্তুতি

 

দিন পেরোলেই মালদায় নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে পুরাতন মালদার নিত্যানন্দপুরে উত্তর ও দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে জনসভা করতে আসছেন তিনি।

    বুধবার থেকেই সভাস্থলের নিরাপত্তার ভার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে এসপিজি। বৃহস্পতিবার সভাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে স্টেজ ও সভাস্থলের কাজ। চড়া রোদ আর গরম হাওয়ায় কাহিল শ্রমিকরাও। তার মধ্যেও কাজের বিরাম নেই। এক শ্রমিকের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী আসছেন বলে কথা। যত কষ্টই হোক, তাঁর সভাস্থল তৈরি করতেই হবে।’ বোঝা গেল, একদিন আগে থেকেই মালদা জেলায় মোদী ম্যানিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামীকাল সকাল ১০ টা নাগাদ সভাস্থলের অদূরে মাধাইপুরে তৈরি করা হয়েছে তিনটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড। তার মধ্যে দুটি ট্রায়ালের জন্য, একটি প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার অবতরণের জন্য। কপ্টার থেকে হেলিপ্যাডে নেমে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা গাড়িতে চেপেই মোদী সভাস্থলে পৌঁছোবেন।

    বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তাপসকুমার গুপ্ত বলেন, ‘২০২১ সালেও প্রধানমন্ত্রীর মালদায় আসার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে তিনি আসতে পারেননি। আমরা খুব বিমর্ষ ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা খুব আনন্দিত যে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাহাপুর বাইপাস সংলগ্ন নিত্যানন্দপুরে জনসভা করতে আসছেন। হাতে খুব অল্প সময়। তাই ঝড়ের গতিতে কাজ করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি বড় ছাউনি আর মঞ্চের কাজ প্রায় শেষ। আরও দুটি ছাউনি তৈরির কাজ চলছে। তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি হয়ে গিয়েছে। ব্যারিকেড তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এসপিজির নির্দেশ মেনে কাজ করতে গিয়ে আমাদের কিছু দেরি হচ্ছে। তাই সারারাত কাজ চলছে। আগামীকাল সকাল ১০.৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার মাটি ছোঁবে। সেখান থেকে গাড়িতে চেপে তিনি মঞ্চে পৌঁছোবেন। আগামীকাল এই সভাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এই মাঠে প্রায় দু’লক্ষ মানুষের জমায়েত করা যায়। এত মানুষকে আমরা কোথায় জায়গা দেব, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। অতিরিক্ত মানুষকে জায়গা দিতে আমরা আশেপাশের জমির মালিকদের আবেদন জানিয়েছি।’